Written by Team IndiBlogHub » Updated on: June 07th, 2025
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ইথান ওয়েস একসময় ভেবেছিলেন যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওজন কমানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। তিনি নিজেই এটি অনুশীলন করেছিলেন, দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে শুধুমাত্র খেতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এটি মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং পাতলা থাকতে সাহায্য করে।
তবে, তার গবেষণার পর, ড. ওয়েস তার মতামত পরিবর্তন করেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মানুষের ওজন কমাতে অন্যদের তুলনায় বেশি সহায়ক নয়, যারা নিয়মিত খাবার খান। এই আবিষ্কারটি তাকে অবাক করেছিল এবং তাকে তার পূর্ববর্তী বিশ্বাসগুলো আবার ভাবতে বাধ্য করেছিল।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, প্রধানত মোটা হওয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই খাবার পদ্ধতি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। ধারণাটি সহজ: একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে খান এবং বাকি সময় উপোস করুন। এই পদ্ধতিটি আকর্ষণীয় হয়েছে কারণ এটি ক্যালোরি গোনা বা প্রিয় খাবার পরিহার করার প্রয়োজন হয় না।
অনেকের জন্য, এটি তাদের খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায় মনে হয়, বিশেষত যখন তারা ভাগো ক্যাসিনোতে গেম খেলছে। সম্প্রতি পরিসংখ্যান দেখায় যে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৩% ডায়েটার এই ডায়েট চেষ্টা করছেন। এই প্রবণতা দেখায় যে, কত মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আগ্রহী।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপর গবেষণা মিশ্র ফলাফল দিয়েছে। ড. ইথান ওয়েস একটি গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন যা ১২ সপ্তাহ স্থায়ী ছিল। এই গবেষণায়, যারা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অনুশীলন করেছিলেন, তারা দিনে তিন বেলা খাবার খাওয়া লোকদের তুলনায় বেশি ওজন কমাননি। এই ফলাফলটি অনেককে অবাক করেছে, কারণ উপোসের মাধ্যমে ওজন কমানোর ধারণাটি প্রচলিত ছিল। অন্য একজন গবেষক, ড. ক্রিস্টা ভারাডি, আবিষ্কার করেন যে যারা উপোস করেন, তারা দৈনিক ২০০ থেকে ৫৫০ ক্যালোরি কম খান।
ড. ভারাডির গবেষণা দেখায় যে, এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনগুলি ওজন কমানোর এবং স্বাস্থ্য উন্নত করার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যখন মানুষ কম খান, তারা প্রায়ই ভালো অনুভব করেন এবং আরও শক্তি পান। এর মানে হল যে, যদিও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কিছু লোকের জন্য সহায়ক হতে পারে, এটি সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে এটি কীভাবে বিভিন্ন মানুষের জন্য কাজ করে তা বোঝার জন্য।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপর গবেষণার ফলাফল মিশ্র হয়েছে, যা কিছু উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কিছু গবেষণা উপকারিতা দেখালেও, অন্যরা সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এই ফলাফলগুলোকে কাছ থেকে দেখে বুঝি, কিভাবে উপোস বিভিন্ন মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি কিছু গবেষণায় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি পাওয়া গেছে। একটির মধ্যে ইঁদুরদের উপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে উপোস করার পর, যখন ইঁদুর আবার খেতে শুরু করে, ক্যান্সার কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া মানুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি ছিল, যারা নিয়মিত তিন বেলা খাবার খেতেন।
IF শুরু করার আগে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন, কারণ তারা সাহায্য করতে পারবেন যে উপোস আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত কিনা।
১৬:৮ পদ্ধতিটি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চেষ্টা করার একটি জনপ্রিয় উপায়। এই পদ্ধতিতে ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া হয় এবং বাকি ১৬ ঘণ্টা উপোস করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খেতে পারেন, যা অনেকেই অনুসরণ করা সহজ মনে করেন।
যখন IF সম্পর্কে চিন্তা করছেন, তখন সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শুরু করার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে যে এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য প্রয়োজনের জন্য নিরাপদ। ক্যাসিনো গেমিংয়ের মতো, Bhaggo লগইন করার আগে গেম সম্পর্কে আরও জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, যে কোনো নতুন ডায়েট পরিকল্পনায় প্রবেশ করার আগে, পরামর্শ গ্রহণ করা আপনার স্বাস্থ্য লক্ষ্যের জন্য বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
Note: IndiBlogHub features both user-submitted and editorial content. We do not verify third-party contributions. Read our Disclaimer and Privacy Policyfor details.
Copyright © 2019-2025 IndiBlogHub.com. All rights reserved. Hosted on DigitalOcean for fast, reliable performance.